Sponsored

পাই পয়সার হিসাব

 



আমরা মাঝে মাঝেই বলতে শুনি -

“পাই পয়সার হিসাব চাইবাসে প্রতিদিন পাই টু পাই হিসাব রাখেকিংবা "ওয়ান পাইস ফাদার মাদারবিশিষ্ট সাহিত্যিক সুবিমল মিশ্রের লেখা একটি বইয়ের শিরোনাম I কিন্তু কথা হচ্ছে পাই  সম্পর্কে আমাদের কতোটা ধারনা আছে!!! অথবা পাই পয়সার কথা আমরা আজো শুনি কিন্তু পাই পয়সার চিহ্ন আজ আর নেই পাই পয়সা রয়ে গিয়েছে শুধু বাংলার কথ্য সমাজে কিন্তু একদিন ছিলপাই পয়সা বৃটিশ ভারতে এইপাই পয়সারজন্ম পাই পয়সা বৃটিশ ভারতের সবচেয়ে কম মূল্যের মুদ্রা ছিল

 

বৃটিশ ভারতের মুদ্রার চেহারাটা একটু দেখে নেওয়া যাক ১৬ আনায় এক টাকা এক আনার ১২ ভাগ করলে এক পাই তিন পাই তে এক পাইস পাইস হোটেলের কথা বাংলা সিনেমায় অনেক শুনেছি এই হল সেই পাইস এক টাকার ১৯২ ভাগের এক ভাগ হল পাই বৃটিশ ভারতে এক পাই ছিল সব চেয়ে ছোট মুদ্রা কিন্তু সে যেগে এতেও মিলতো অনেক কিছু সে যুগে হিসাব ছিল তিন পাইতে এক পাইস , চার পাইসে এক আনা আর ১৬ আনায় এক টাকা কিন্তু টাকা সে যুগে সবার ঘরে খুব কমই থাকতো শুধু পাই আর পাইসে চলে ঘরের কেনাকাটা আর আনাতেই সংসার চলে যেত ভালো রকম

 


কিন্তু দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের জেরে দ্রব্যমূল্য বাড়তে থাকে ।বিদেশ থেকে মুদ্রা তৈরির জন্য তামা এবং অন্য ধাতুর দাম বাড়তে থাকে ১৯৪২ সালে পাই তৈরি বন্ধ করে দেয় বৃটিশ সরকার তবে পাই বাজারে চলে ১৯৪৭ সাল পর্যন্ত ১৯৪২ সালে পাই তৈরির জন্য যে ধাতু লাগতো তার মূল্য পাই এর বিনিময় মূল্য থেকে বেশ কম হয়ে যাচ্ছে বৃটিশ সরকার পাই তৈরি বন্ধ করে দেয় ১৯৪৭ সালে পাই এর বিমুদ্রাকরন হয় এবং রিজার্ভ ব্যাঙ্কের জাদুঘরে ঠাঁই হয় পাই এর পাই পয়সার আর পাইস হোটেল আজো রয়েছে বাংলার মনে কিন্তু বাস্তবে সে শুধু ইতিহাস



  পাই = পাইস

পাইস = আনা

১৬ আনা= টাকা

টাকা = ১৯২ পাই






 

Post a Comment

0 Comments